১ ফেব্রুয়ারি নিউজপোর্টাল সংযোগবার্তার ভ্রমণ গ্রুপ Lets Go (চলি) দিনভর সময় কাটালো দেশের অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরে। ‘জাবি যাবি ভর্তা খাবি’ প্রতিপাদ্যে সেখানে যায় দলটি। তিন ধরনের ট্যুর আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। নিজেদের অভ্যন্তরীণ ট্যুর, সামাজিক ট্যুর ও বাণিজ্যিক ট্যুর। নিজেদের অভ্যন্তরীণ ট্যুরগুলো আয়োজনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিতে সাধারণ যানবাহন ব্যবহারের চেষ্টা করে থাকে গ্রুপটি। ব্যতয় হয়নি এবারেও।
১ ফেব্রুয়ারি গ্রুপের সদস্যরা সকাল পৌঁনে আটটায় একত্রিত হতে থাকেন রাজধানীর গুলিস্তান জিপিওর সামনে। সেখান থেকে রওনা দেন লোকাল বাসে। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ দলটি পৌঁছে যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর দলের সদস্যদের আন্তরিক পদচারণায় ভরে ওঠে জাহাঙ্গীরনগর চত্বর। নিজেদের মতো ফটোসেশনে মাতে প্রতিটি সদস্যই। নিজেরা নিজেরাই হয়ে ওঠেন একে অপরের গাইড। খেয়াল রাখেন কেউ বোর হচ্ছেন কিনা (?)। এভাবেই পেরিয়ে যায় কয়েক ঘণ্টা।
জুমা’বার হওয়ায় সদস্যদের অনেকেই অংশ নেন নামাজে।
এরপরই আসে সেই কাঙ্খিত সময়। ভর্তা সহ ভাত। আঠারো পদের ভর্তা চলে আসে সবার সামনে। গ্রুপটির সদস্য মঞ্চকর্মী অনুপমার কাছে জানতে চাওয়া হয় কেন এসেছেন তারা ( ?)। তিনি বলেন, ‘ যেখানে ফাস্ট ফুডের দৌরাত্মে ভরে গেছে সারা দেশ। সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন আয়োজন সত্যি অনন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ক্ষেত্রই শিক্ষার আধার। আমার মনে হয়েছে ভর্তা ভাতের এই আয়োজনটির মধ্য দিয়ে লোকজ খাবার টিকিয়ে রাখার চেতনাবোধ শানিয়ে নিতে পারি আমরা’। একই কথা বলেন বন্নি, শামীম,সহ অন্যরাও।
এর পরে দলটির সাথে এ সময়কার মানসিক নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস কাউন্সিলিং এন্ড গাইডেন্স সেন্টারের সহকারি পরিচালক, ইফরাত জাহান। তাঁর সাথে অংশ নেন ইফরাত জাহানের স্বামী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি প্রক্টর মো: শাহীন মোল্লা। তাঁদের কথায় ওঠে আসে দাম্পত্য বিষয়ের বোঝাপড়া গুলোও। তাঁরা বলেন ,‘ মানুষের রাগ থাকবেই। তাই বলে ভায়োলেন্স হবে না’ । ভায়োলেন্স এঁড়ানোর নানা কৌশল তুলে ধরেন তাঁরা। স্বামী -স্ত্রীর মধ্যে এমন একটা সম্পর্ক তৈরি হবে যাতে রাগ প্রশমিত হয়ে তা রুপ নেবে আলোচনায়। ব্যক্তিগত জীবনের উদাহরণ ও বিভিন্ন কেস স্টাডির মদ্য দিয়ে তারা বিষয়গুলো তুলে ধরেন সদস্যদের সামনে। শেয়ারিং এর বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন তারা। ভ্রমণ গ্রুপের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন তাঁরা।


এরপর সন্ধ্যার চা-চক্রে যোগ দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ এস এম ফিরোজ উল হাসান। যোগ দেন আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা.এফ এইচ চৌধুরী। গ্রুপটির এডমিন আবু ওবায়দা টিপুর কাছে জানতে চাওয়া হয় কেন এমনভাবে আয়োজনটির পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি ? উত্তরে টিপু বলেন, ‘ আমরা আমাদের নিউজ পোর্টাল সংযোগ বার্তার মাধ্যমে সমন্বয় করতে চাই প্রত্যেকের মেধা আর মননের। সেই সাথে লেটস গো ( চলি) গ্রুপের মধ্য দিয়ে ভ্রমণের পাশপাশি সকলকে দিতে চাই নানা ধরণের সচেতনতাও। তেমনি আবার ‘এক হয়ে লিখি’ গ্রুপের মধ্য দিয়ে সারাদেশে লেখক সাহিত্যিকদের সাথে এক হয়ে করতে চাই সাহিত্যচর্চাও’। তিনি জানান, ‘এক হয়ে লিখি’তে কাজ করছেন কলকাতার লিখিয়েরা।
- bty